পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় আমন ধান উঠার সাথে সাথে তরমুজ ও আলু চাষীদের ব্যস্ততা সারা উপজেলায় লক্ষ্য করা গেছে। গলাচিপা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক তথ্য মতে, গলাচিপা উপজেলায় তরমুজ চাষে ৬ হাজার ৫০০ হেক্টর ও আলু চাষে ৩৫২ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এতে তরমুজ উৎপাদনে হেক্টর প্রতি ৫০ টন, উপজেলায় উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে মোট ৩ লক্ষ ২৫ হাজার টন।
আর আলু চাষে হেক্টর প্রতি উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ৩০ টন, উপজেলায় উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১২ হাজার টন। যদি কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ কবলিত না হয় তাহলে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশী উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে বলে কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে। তরমুজ প্রতি কেজি ১০ টাকা হারে হিসাব করলে ৩২৫ কোটি টাকা বিক্রয় মূল্য দাড়াবে। আর আলু প্রতি কেজি ১০ টাকা ধরে হিসাব করলে ১২ কোটি টাকা বিক্রয় মূল্য দাড়াবে। তরমুজ চাষে খরচ ধরা হয়েছে প্রতি হেক্টরে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। উপজেলায় মোট চাষে খরচ হবে ১৪৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। প্রতি হেক্টরে বিক্রী মূল্য ৫ লক্ষ টাকা। তরমুজ চাষে মোট লাভ হওয়ার সম্ভাবনা ১৭৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
উপজেলায় আলু চাষে মোট খরচ হবে ৮ কোটি টাকা। প্রতি হেক্টরে বিক্রয় মূল্য ৩ লক্ষ টাকা। আলু চাষে মোট লাভ হওয়ার সম্ভাবনা ৪ কোটি টাকা। তরমুজ ও আলু চাষে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা ১৭৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। বোয়ালিয়ার এক তরমুজ চাষী অটল চন্দ্র পাল বলেন, আমি ১ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি আমার এতে খরচ হবে ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে কোন প্রকার ক্ষতি না হলে ৫ লক্ষ টাকার উপরে বিক্রয় করতে পারবো বলে আশা রাখি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ্ বলেন, আমন ধান উঠার সাথে সাথে তরমুজ ও আলু চাষীরা খুব দ্রুত চাষাবাদ শুরু করেন। চাষের ব্যাপারে সঠিক ধারনা ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য প্রতি ইউনিয়নে সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা সর্বদা তৎপর রয়েছেন। যদি কোন প্রকার প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হয় তাহলে যে লক্ষ্যমাত্রা ধার্য্য করা হয়েছে তার চেয়েও অধিক ফলনের আশা কৃষকদের।